পাবলো নেরুদা

চিলীয় কবি

রিকার্দো এলিসের নেফতালি রেইয়েস বাসোয়ালতো (১২ জুলাই ১৯০৪ - ২৩ সেপ্টেম্বর ১৯৭৩), যিনি তার ছদ্মনাম এবং পরবর্তীকালে আইনসিদ্ধ নাম পাবলো নেরুদা নামে অধিক পরিচিত, একজন চিলীয় কবি-কূটনীতিক ও রাজনীতিবিদ ছিলনে। তিনি ১৯৭১ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার অর্জন করেন। নেরুদা মাত্র তেরো বছর বয়েসে কবি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন এবং বিভিন্ন ধরনের কবিতা লিখতে শুরু করেন, তন্মধ্যে ছিল পরাবাস্তববাদী কবিতা, ঐতিহাসিক মহাকাব্য, প্রকাশ্য রাজনৈতিক ইশতেহার, গদ্য আত্মজীবনী এবং ভালোবাসার কবিতা, তন্মধ্যে একটি হল ১৯২৪ সালে প্রকাশিত বিশটি কবিতা ভালোবাসার একটি গান হতাশার শীর্ষক কাব্যগ্রন্থ। নেরুদাকে প্রায়ই চিলির জাতীয় কবি বলে বিবেচনা করা হয়। তার সৃষ্টিকর্মগুলো বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয় এবং প্রভাব বিস্তারকারী। নেরুদা ১৯৭৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। তাঁর মনে হয়েছিল কোনো এক ডাক্তার পিনোচেটের আদেশে তাঁকে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে হত্যা করার পরিকল্পনা করেছেন। তবে নেরুদা ১৯৭৩ সালের ২৩শে সেপ্টেম্বর তাঁর নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন।

পাবলো নেরুদা
  • একটি শিশু যদি না খেলে, তাহলে সে শিশু নয়। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ যদি খেলতে পছন্দ না করেন, তাহলে বুঝতে হবে তিনি তার ভেতরে থাকা শিশুমন চিরদিনের জন্য হারিয়ে ফেলেছেন।
  • ভালোবাসা ক্ষণস্থায়ী, কিন্তু ভুলে যাওয়ার স্থায়িত্ব অনেক।
    • টুনাইট আই ক্যান রাইট। টুয়েন্টি লাভ পোয়েমস এন্ড এ সং অফ ডিসপেয়ার। পেঙ্গুইন বুকস (২০০৪)। পৃষ্ঠা ৭৯। আইএসবিএন ০১৪২৪৩৭৭০০
  • আপনারা জিজ্ঞাসা করবেনঃ আপনার কবিতা কেন আমাদের কাছে আপনার জন্মভূমির স্বপ্ন, গাছ-পালা, বিশাল আগ্নেয়গিরির কথা বলে না? আসুন রক্তে রাঙ্গানো রাস্তা দেখে যান, আসুন দেখে যান, আসুন!
  • প্রেম হলো জল এবং একটি নক্ষত্রের সাথে সমুদ্রযাত্রা, মাতাল হাওয়া এবং তুষারের ঝাপটায়; প্রেম হলো বিদ্যুৎ চমকানো আলোর যুদ্ধ।
  • ফ্যাকাশে অন্ধ ডুবুরি, ভাগ্যহীন স্লিঙ্গার, হারিয়ে যাওয়া আবিষ্কারক, তোমার মধ্যে সবকিছু ডুবে আছে!
  • একটি বই হলো বিজয়।
    • ফুল উইমেন, ফ্লেশলি অ্যাপল, হট মুনঃ সিলেক্টেড পোয়েমস অফ পাবলো নেরুদা। (সংস্করণ. হার্পারকলিন্স পাবলিশার্স, ১৯৯৭) আইএসবিএন ৯৭৮০০৬০১৮২৮৫৪
  • আকাশের সঙ্গে কথা বলার জন্য গাছটি পৃথিবীর কাছ থেকে কী শিখেছে?

পাবলো নেরুদা সম্পর্কে উক্তি

সম্পাদনা
  • আমার কর্মের পুরস্কার হচ্ছে, আমার জীবনের সেই সব পবিত্র মুহূর্ত, যখন একটি লোক কয়লা-কালো গহ্বর থেকে, শোরার খাদ থেকে ও তামার খনি থেকে উঠে এসে, আসলে বলা উচিত, যেন নরকের গর্ত থেকে হামাগুড়ি দিয়ে বেরিয়ে এসে এক একটি মানুষ, হাড়ভাঙ্গা খাটুনিতে যাদের মুখের চেহারা বিকৃত, ধুলোয় খরখরে লাল চোখ, আমাকে দেখে শুষ্ক প্রান্তরের মতোই চৌচির শক্ত হাতখানা বাড়িয়ে দিয়ে ঝকঝকে চোখে উৎসাহের সঙ্গে বলে ওঠে, ‘আমি তোমাকে চিনি ভাই!’ এটাই আমার কবিতার শ্রেষ্ঠ অর্জন।
    • উক্তিকারী: পাবলো নেরুদা। সংগৃহীত: জনকন্ঠ
  • আমি কোন বই পড়ে কবিতা লিখতে শিখিনি। কাউকে শেখাতেও পারব না। কেবল আমার নিজ পথ চলার কাহিনী নিয়ে আমি কবিতা লিখি। তাতে আমি মাটির গন্ধ পাই, আত্মার উৎসারণ অনুভব করি। আমি বিশ্বাস করি, মানুষ তার ছায়ার সঙ্গে, আচরণের সঙ্গে, কবিতার সঙ্গে আটকে আছে। মানুষের যে সমাজবদ্ধতার চেতনা, তা সম্ভব হয়েছে স্বপ্ন ও বাস্তবতাকে একসঙ্গে মেলানোর প্রচেষ্টায়। কবিকে সবার দিকে হাত বাড়াতে হলে সবার সঙ্গে মিশতে হবে, ঘাম ঝরাতে হবে, রুটি বানানোর প্রক্রিয়ায় ঢুকে পড়তে হবে। ভাল কবিতা লিখতে হলে অবশ্যই অসাধারণ মানুষ হতে হবে, যা এতদিন আমরা হইনি, নিজেদের ঈশ্বর ভেবে এসেছি।
    • উক্তিকারী: পাবলো নেরুদা। সংগৃহীত: জনকন্ঠ

আরও দেখুন

সম্পাদনা

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা