মা আনন্দময়ী
হিন্দু গুরু
এই নিবন্ধটিতে কোনো উৎস উদ্ধৃত করা হয়নি। |
মা আনন্দময়ী (৩০ এপ্রিল ১৮৯৬ - ২৭ আগস্ট ১৯৮২) একজন ধর্মীয় নেত্রী ছিলেন এবং বিংশ শতাব্দীর ভারতের অন্যতম বিখ্যাত হিন্দু নারী। তিনি মানুষকে আধ্যাত্মিক ভাবে উদ্বুদ্ধ করার জন্য উপমহাদেশের বিভিন্ন স্থান পরিভ্রমণ করেন। তার একটি বিশেষ কীর্তি হলো প্রাচীন ভারতের অন্যতম শ্রেষ্ঠ তীর্থস্থান নৈমিষারণ্যের পুনর্জাগরণ ঘটানো। সেখানে গিয়ে তিনি নতুন করে মন্দির স্থাপন এবং যজ্ঞ, কীর্তন, নাচ-গান ইত্যাদির মাধ্যমে ভগবৎসাধনার ক্ষেত্র তৈরি করেন।
উক্তি
সম্পাদনা- সংসারটা ভগবানের; যে যে অবস্থায় আছে, সেই অবস্থায় থেকে কর্তব্যকর্ম করে যাওয়া মানুষের কর্তব্য।
- আপনার পার্থিব পেনশন আপনার জীবনের সাথে শেষ হয়ে যায়, কিন্তু ঐশ্বরিক পেনশন দীর্ঘ, মৃত্যুর পরেও চলতে থাকে।
- শ্রী মা আনন্দময়ীর-শিক্ষা [১] (ইংরাজি)
- তোমরাই তো বল, বুদ্ধ ৫০০ জন্মের কথা বলেছেন। ছেলেবেলা থেকে এখন পর্যন্ত তোমার যা বয়স হয়েছে— এই জন্মের এই সমস্ত কথা মনে করতে পার? প্রতি পলে তোমার মৃত্যু হচ্ছে তোমার জানা নেই— এখন তোমার বাল্য নাই, শৈশব নাই, যৌবন নাই৷ (শ্রীমদ্ভগবদ্গীতায় ভগবান বলছেন
- নতুন সৃষ্টি সর্বদাই হচ্ছে। সৃষ্টি অনাদি অনন্ত। কালের মধ্যেই সৃষ্টি হয় সত্য, কিন্তু ফালাতিত অবস্থাও আছে। সবাই যুগপৎ অনন্তকাল ধরে চলেছে।
- দেহ মনের রাজ্যেই বিরুদ্ধ শক্তির অধিকার। তাই স্থিরভাবে বসা, স্থিরাসনে চেতনার ধারা নিয়ে দীর্ঘ সময় থাকার চেষ্টা করা প্রয়োজন।
- উপদেশ সকল স্থানে ছড়িয়ে আছে। কেবল কুড়িয়ে নিতে পারলেই হয়।
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় মা আনন্দময়ী সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিমিডিয়া কমন্সে মা আনন্দময়ী সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।