মুন্সি প্রেমচাঁদ

ভারতীয় হিন্দি ভাষার লেখক

মুন্সি প্রেমচাঁদ (৩১ জুলাই ১৮৮০ - ৮ অক্টোবর ১৯৩৬) আধুনিক হিন্দি এবং উর্দু ভাষার অন্যতম লেখক ছিলেন। তার আসল নাম ধনপত রায়। তবে মুন্সী প্রেমচাঁদ নামেই তিনি বেশি পরিচিত। প্রেমচাঁদকে আধুনিক হিন্দি সাহিত্যের জনক বলেও অভিহিত করা হয়। মুন্সি প্রেমচাঁদের রচিত উল্লেখযোগ্য রচনাগুলি হল প্রেম পঁচিশি, প্রেম বত্তিশি, খাক পরোয়ানা, খোয়াব ও খেয়াল, ফেরদৌসে খেয়াল, প্রেম চল্লিশি, আখেরি তোফাহ, যাদরাহ, নির্মলা ইত্যাদি।

ভারতীয় ডাকটিকিটে (১৯৮০) প্রেমচাঁদ
  • বিশ্বাস সংসার থেকে লুপ্ত হয়নি, হবে না। সত্যের উপর বিশ্বাস রাখা প্রত্যেক মানুষের ধর্ম। যে মানুষের মন থেকে বিশ্বাস চলে গেছে তাকে মৃত বলে মনে করা উচিত।
    • ব্যাঙ্ক-দেউলে, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ৭৪
  • আত্মার ব্যাপকতাকে যদি ব্যবহারিক জীবনে মেনে নেওয়া যায় তাহলে তো আজই পৃথিবীতে সাম্যের রাজ্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে যায়। কিন্তু সাম্য হল দর্শনের একটা নীতিজ্ঞান, আর তা তেমনই থাকবে।
    • ভগবানের সং, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ১১১
  • বিদ্যাশিক্ষার উদ্দেশ্য আত্মিক উন্নতি আর আত্মিক উন্নতির প্রকাশ হল উদারতা, ত্যাগ, সদিচ্ছা, সহানুভূতি, ন্যায়পরতা ও দয়াশীলতা।
    • পশু থেকে মানুষ, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ১০৪
  • ধনসম্পদ মানুষের অন্তর থেকে দয়া এবং প্রেমের বোধকে দূর করে দেয়; এটা এমনই এক মেঘ যা মনের উজ্জ্বল তারাগুলোকে ঢেকে ফেলে।
    • ব্যাঙ্ক-দেউলে, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ৮০
  • আমাদের সুপ্ত ন্যায়-অন্যায় বোধ তার সমস্ত সম্পদ লুট হয়ে গেলেও টের পায় না। কিন্তু আহ্বান শুনলে সচেতন হয়ে ওঠে। তখন আর কেউ সেই ন্যায়-অন্যায় বোধকে পরাজিত করতে পারে না।
    • পঞ্চ-পরমেশ্বর, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ৩৯
  • যে শিক্ষা দুর্বলের উপর অত্যাচার শেখায়, যে শিক্ষা আমাদের জমি ও বিশ্বের ভৃত্যে পরিণত করে, যে শিক্ষা মানুষকে ভোগবিলাসে মত্ত রাখে, যে শিক্ষা অপরের রক্ত চুষে মোটা হতে শেখায়, সে শিক্ষা শিক্ষা নয়।
    • পশু থেকে মানুষ, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ১০৪
  • জাতপাতের এই বিভেদভাব থেকে আমাদের দেশের যে ক্ষতি হচ্ছে তার কথা তো অত্যন্ত মোটা বুদ্ধির লোকও বুঝতে পারে। এসব বিভেদ দূর করতে পারলে যে দেশের কল্যাণ হয়, এতে কারও সন্দেহ নেই।
    • ভগবানের সং, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ১০৯
  • সমাজের চক্র সাম্য থেকে শুরু করে আবার সাম্যে পৌঁছেই থামবে। একাধিপত্য, বিত্তশালীদের প্রভুত্ব ও বাণিজ্যিক প্রাধান্য এই চক্রের মধ্যবর্তী অবস্থা।
    • পশু থেকে মানুষ, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ১০৬
  • সম্পদকে মানুষ কী ভালোই না বাসে! সম্পদ তার নিজের প্রাণ থেকেও প্রিয়, বিশেষ করে বার্ধক্যে। সমস্ত ঋণ চুকিয়ে দেবার দিন যত কাছে আসতে থাকে ততই যেন তার সুদও বেড়ে উঠতে থাকে।
    • অভিশাপ, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ১৯
  • শুধুমাত্র সুখে জীবন কাটানোই আমাদের লক্ষ্য নয়। সুখভোগের দ্বারা মানপ্রতিষ্ঠা এবং কীর্তি হয় না। রাজপ্রাসাদে বসবাসকারী বিলাসী রানাপ্রতাপকে কে চেনে? তার আত্মত্যাগ এবং কঠোর ব্রতপালনই তো তাকে আমাদের জাতির কাছে সূর্য করে তুলেছে। শ্রীরামচন্দ্র যদি ত্তার জীবনটা সুখভোগে কাটাতেন, তাহলে আজ আমরা তার নামটাও জানতে পেতাম না। তার আত্মত্যাগই তাকে অমর করে তুলেছে।
    • ব্যাঙ্ক-দেউলে, প্রেমচন্দ গল্পসংগ্রহ- প্রেমচন্দ, প্রকাশক- পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি, কলকাতা, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশসাল- নভেম্বর ২০০১, পৃষ্ঠা ৮২

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা