শরৎ
বাংলার বছরের তৃতীয় ঋতু
শরৎ বাংলার ষড়ঋতুর তৃতীয় ঋতু। ভাদ্র ও আশ্বিন মাস মিলে শরৎ ঋতু। পৃথিবীর চারটি প্রধান ঋতুর একটি হচ্ছে শরৎ ঋতু। উত্তর গোলার্ধে সেপ্টেম্বর মাসে এবং দক্ষিণ গোলার্ধে মার্চ মাসে শরৎ ঋতুর আগমন হয়।

উক্তি
সম্পাদনা- এসেছে শরৎ, হিমের পরশ
লেগেছে হাওয়ার ’পরে।
সকাল বেলায় ঘাসের আগায়
শিশিরের রেখা ধরে।
আমলকী-বন কাঁপে, যেন তার
বুক করে দুরু দুরু।
পেয়েছে খবর, পাতা-খসানোর
সময় হয়েছে শুরু। - ক্রমে বর্ষাকাল গত ও শরৎকাল আগত হইল । মেঘের অপগমে দিঙ্মণ্ডল যেন প্রসারিত হইল । মার্তণ্ড প্রচণ্ড কিরণদ্বারা পঙ্কময় পথ শুষ্ক করিয়া দিলেন । নদ, নদী, সরোবর ও পুষ্করিণীর কলুষিত সলিল নির্ম্মল হইল । মরালকুল নদীর সিকতাময় পুলিনে সুমধুর কলরব করিয়া কেলি করিতে লাগিল । গ্রামসীমায় পিঙ্গল কলমঞ্জরী ফলভরে অবনত হইল । শুকসারিকা প্রভৃতি পক্ষিগণ ধান্যশীষ মুখে করিয়া শ্রেণীবদ্ধ হইয়া গগনের উপরিভাগে অপূর্ব্ব শোভা বিস্তার করিল । কাশকুসুম বিকসিত হইল । ইন্দীবর, কহ্লার শেফালিকা প্রভৃতি নানা কুসুমের গন্ধযুক্ত বিশদবারিশীকরসম্পৃক্ত সমীরণ মন্দ মন্দ সঞ্চারিত হইয়া জীবগণের মনে আহ্লাদ জন্মিয়া দিল । সকল অপেক্ষা শশধরের প্রভা ও কমলবনের শোভা উজ্জ্বল হইল ।
- বাণভট্ট , কাদম্বরী উপন্যাস, তারাশঙ্কর তর্করত্ন কর্তৃক অনূদিত, পৃষ্ঠা: ১৩৮
- এই কাল কি রমণীয়! লোকের গতায়াতের কোন ক্লেশ থাকে না । যে দিকে নেত্রপাত করা যায়, ধান্যমঞ্জরীর শোভা নয়ন ও মনকে পরিতৃপ্ত করে । জল দেখিলে আহ্লাদ জন্মে! চন্দ্রোদয়ে রজনীর সাতিশয় শোভা হয় । নভোমণ্ডল সর্ব্বদা নির্ম্মল থাকে ।
- বাণভট্ট , কাদম্বরী উপন্যাস, তারাশঙ্কর তর্করত্ন কর্তৃক অনূদিত, পৃষ্ঠা: ১৩৯
- ভোলা স্বপন সফল হ’ল
সোনার শরৎ-শেষে গো!
যে আলোকে কাঁদন হরে
শিউলি মরে—হেসে গো!
- ঐ এলো ঐ এলো
শরতের রোদ্দুর—
বাদলের সাড়া নেই,
আজ তারা কদ্দুর?
- বরষার শেষে ওই শরৎ আসিল।
অভিনব কি মাধুরী ধরণী ধরিল॥
সজল জলদজালে করি বিদূরিত।
ধরায় শরৎ ঋতু হল উপনীত॥
- আজকের সব কথা পরিণাম আর সম্ভাব্যের;
শরতের অবকাশে শোনা যায় আকাশের বাঁশরী,
কিন্তু বাঁশরী বৃথা, জমবে না আজ কোনো আসর-ই।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় শরৎ সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে শরৎ শব্দটি খুঁজুন।