কৃষক
কৃষিকার্য পেশায় নিয়োজিত ব্যক্তি
কৃষক একজন ব্যক্তিবিশেষ যিনি কৃষিকার্য পেশায় নিয়োজিত থেকে ফসল উৎপাদন করেন। পাশাপাশি তিনি খাবারের উপযোগী করে গৃহপালিত প্রাণী লালন-পালন করেন। সভ্যতার ঊষালগ্ন থেকে এ পেশার মাধ্যমে কৃষক মানুষের জন্যে খাদ্য সরবরাহ করে জীবনকে চলমান রেখেছেন।
উক্তি
সম্পাদনা- দেশ ব্যক্তি বিশেষের বা সম্প্রদায় বিশেষের সম্পত্তি নয় এবং কি হিন্দু, কি মুসলমান, কি শ্রমিক, কি ধনিক কোন সম্প্রদায় বিশেষের পক্ষে সকলের সহযোগিতা ব্যতীত স্বরাজলাভ লাভ সম্ভব নয় কিন্তু সকলের ন্যায্য দাবী আমাদিগের স্বীকার করিতে হইবে, সঙ্ঘবদ্ধ শ্রমিক ও কৃষক সম্প্রদায়ের সহযোগ ব্যতীত স্বরাজলাভের আশা দুরাশা মাত্র এবং তাহারা যে পর্যন্ত সঘবদ্ধ না হইতেছে ততদিন তাহাদিগের পক্ষে স্বাধীনতা আন্দোলনে যোগদান সম্ভবপর নয়।
- নৃপেন্দ্রনাথ সিংহ - নেতাজীর জীবনী ও বাণী, শ্রমিক ও কৃষক ১৯৪৫ (পৃ. ১২২-১২৩)।
- এ বন্ধ্যা মাটির বুক চিরে
এইবার ফলাবাে ফসল।
আমার এ বলিষ্ঠ বাহুতে
আজ তার নির্জন বােধন।- সুকান্ত ভট্টাচার্য - ছাড়পত্র, কৃষকের গান ১৯৪৭ (পৃ. ৫৮)।
- আবার বিকেল বেলা নিভে যায় নদীর খাড়িতে;
একটি কৃষক শুধু খেতের ভিতরে
তার বলদের সাথে সারাদিন কাজ ক’রে গেছে;
শতাব্দী তীক্ষ্ণ হ’য়ে পড়ে।- জীবনানন্দ দাশ - জীবনানন্দ দাশের শ্রেষ্ঠ কবিতা, খেতে প্রান্তরে ১৯৫৪ (পৃ. ৮৯-৯১)।
- ক্রমশ এদেশে গুচ্ছবদ্ধ রক্ত-কুসুম
ছড়ায় শত্রু-শবের গন্ধ, ভাঙে ভীত ঘুম।
এখানে কৃষক বাড়ায় ফসল মিলিত হাতে,
তোমার স্বপ্ন চূর্ণ করার শপথ দাঁতে- সুকান্ত ভট্টাচার্য - সুকান্ত সমগ্র, বিভীষণের প্রতি ১৯৫৭ (পৃ. ১৬২-১৬৩)।
- পঞ্চবার্ষিকী পরিকল্পনার এই অভূতপূর্ব্ব সাফল্যে রাশিয়ার প্রধান সমস্যা কৃষক ও কৃষিকার্য্যের সমস্যা সম্পূর্ণরূপে সমাধান হইয়াছিল একথা বলা যায় না। শ্রমিক-সমস্যা ও কৃষক-সমস্যা এক বস্তু নহে। বিপ্লবের পর সমাজতান্ত্রিক পুনর্গঠন, রক্ষণশীল ও আত্মকেন্দ্রিক কৃষক সমাজের নিকট হইতে প্রবল বাধা পাইতে লাগিল।
- সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদার - ষ্ট্যালিন ১৯৪৪ পৃ. ১১৩
- মহারাষ্ট্র দেশে বৃষ্টি বড় কম এবং অনিশ্চিত; এজন্য অল্প শস্য জন্মে, এবং তাহাও অনেক পরিশ্রমের ফলে। কৃষক সারা বৎসর খাটিয়া কোনমতে পেট ভরিবার মত ফসল লাভ করে। ইহাও আবার সকল বৎসরে নহে। যে শুষ্ক পাহাড়ে দেশ, তাহাতে ধান হয় না, গম ও যব জন্মে অত্যন্ত কম।
- যদুনাথ সরকার - শিবাজী, মহারাষ্ট্র দেশ ও মারাঠা জাতি, ১৯২৯ (পৃ. ১-১০)।
- তিনি দেশের যুবক, শ্রমিক ও কৃষক আন্দোলনের কথা ভাবিতে আরম্ভ করেন এবং কংগ্রেসের অভ্যন্তরে যুবক শ্রমিক ও কৃষকদের সংঘবদ্ধ করিয়া একটি সংগ্রামশীল ‘বামপক্ষ’ গঠনের সঙ্কল্প করেন।
- সুভাষচন্দ্র বসুর উদ্দেশ্যে - প্রফুল্লরঞ্জন রায় ও শ্যামদাস বন্দ্যোপাধ্যায় লিখিত বিপ্লবী সুভাষচন্দ্র, ১৯৪৬ (পৃ. ৫৮-৬৭)
- কৃষকের বসন্তের গীত শুনিতাম,
নানাবিধ বরণের ফুল তুলিতাম।
নাচিতাম গাইতাম তোমারি মতন,
অতুল আনন্দ-রসে গ’লে যে’ত মন।- নারায়ণচন্দ্র বিদ্যারত্ন - নীতিকণা, ক্ষুদ্র তরঙ্গিণী ১৮৯৬ (পৃ. ৩৩-৩৬)।
- সন ১২৭২ সালে ঐ প্রদেশে অনাবৃষ্টি প্রযুক্ত কিছুমাত্র ধান্যাদি শস্য উৎপন্ন হয় নাই। সুতরাং সাধারণ লোকের দিনপাত হওয়া দুষ্কর হয়। ঐ সালের পৌষ মাসে কোন কোন কৃষক যৎসামান্য ধান্য পাইয়াছিল, তাহাও প্রায় মহাজনগণ আদায় করেন। কৃষকদের বাটীতে কিছুমাত্র ধান্য ছিল না। দুঃসময় দেখিয়া ভদ্রলোকেরা ইতর লোকদিগকে কোনও কাজ কর্ম্মে নিযুক্ত করেন নাই।
- প্রিয়দর্শন হালদার - বিদ্যাসাগর জননী ভগবতী দেবী, লোকানুরাগ ও সেবাধর্ম্ম।
- ধানের শিষ্গুলি যে বাহির হয় তাহা কিসের জন্য?—শুষ্ক হইবার জন্যই কি নহে? আর কৃষকেরা উহাকে কাটিবে, শুধু এইজন্যই কি উহা শুষ্ক হয় না? কেন না, নিজের জন্য জীবন ধারণ করিতে উহার পৃথিবীতে আসে নাই। অতএব উহাদের যদি জ্ঞান থাকিত, কৃষকেরা যাহাতে উহাদিগকে না কাটে—এইরূপ প্রার্থনা করা কি উহাদের পক্ষে উচিত হইত? কেন না, ধান-কাটা না হওয়া ধানের পক্ষে বিষম অভিশাপ;
- জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুর - এপিক্টেটসের উপদেশ, জীবনের খেলা ১৯০৭ (পৃ. ২১-২৬)
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় কৃষক সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে কৃষক শব্দটি খুঁজুন।