ছাই

আগুনের কঠিন অবশিষ্টাংশ

ছাই হলো আগুনের কঠিন অবশিষ্টাংশ। বিশেষভাবে, ছাই বলতে বোঝায় সমস্ত অ-জলীয়, অ-বায়বীয় অবশিষ্টাংশ যা কোনো পদার্থ সম্পূর্ণ জ্বলনের পরে থেকে যায়। ছাইয়ের সবচেয়ে পরিচিত ধরন হলো কাঠের ছাই যা কাঠের দহনের পরে কঠিন অবশিষ্টাংশ হিসাবে পাওয়া যায়। কিছু ছাই প্রাকৃতিক যৌগ ধারণ করে যা মাটিকে উর্বর করে।

  • ধানকলের এক কোণায় ছােট একটি পুকুর। ইঞ্জিন ঘরের ওদিকে আরও একটা বড় পুকুর আছে। বয়লারের ছাই ফেলিয়া ছােট পুকুরটির একটি তীরকে ওরা ধীরে ধীরে পুকুরের মধ্যে ঠেলিয়া আনিয়াছে, পুকুরটা বুজাইয়া ফেলিবে বােধ হয়।
    • মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, জননী, তৃতীয় পরিচ্ছেদ, জননী - মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রকাশক- জেনারেল প্রিণ্টার্স য়্যাণ্ড পাব্লিশার্স লিঃ, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৬
  • এ দেহের চিহ্ন নাই
    শুধু একরাশি ছাই
    র’বে গঙ্গা-তীরে,
    আর কি পাঠাবে বিভু!
    সুন্দর জগতে কভু
    আসিব কি ফিরে?
    • আসিব কি ফিরে?, কাব্যকুসুমাঞ্জলি - মানকুমারী বসু, পঞ্চম সংস্করণ, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩১৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪০
  • জানি! স্তব্ধ হয়ে গেছে তোমাদের অগ্রগতির স্রোত,
    তাই দীর্ঘশ্বাসের ধোঁয়ায় কালো করছ ভবিষ্যৎ
    আর অনুশোচনার আগুনে ছাই হচ্ছে উৎসাহের কয়লা।
    • সুকান্ত ভট্টাচার্য, ঐতিহাসিক, ছাড়পত্র কাব্যগ্রন্থ, সুকান্ত সমগ্র- সুকান্ত ভট্টাচার্য, প্রকাশক- সারস্বত লাইব্রেরী, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৬৫
  • কলের চুল্লীতে যত ভাল কয়লা পোড়ানো যায়, কাজও তত ভাল হয়। অল্প ছাই রাখিয়া যাহা প্রায় নিঃশেষে পুড়িয়া যায়, তাহাই ভাল কয়লা। পাথর ও নানা আকরিক পদার্থ মিশানো কয়লা পুড়িবার সময়ে অতি অল্প তাপ উৎপন্ন করিয়া স্তূপীকৃত ভস্মে পরিণত হয়।
    • জগদানন্দ রায়, প্রাণিদেহের উত্তাপ, প্রাকৃতিকী- জগদানন্দ রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান প্রেস লিমিটেড, এলাহাবাদ, প্রকাশসাল- ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩২১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১২৪-১২৫

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা