বসন্ত
ষড়ঋতুর শেষ ঋতু
বসন্ত ষড়ঋতুর শেষ ঋতু। ফাল্গুন এবং চৈত্র এই দুই মাস মিলে বসন্ত। শীত চলে যাবার পর বসন্ত ঋতুর আগমন ঘটে। পৃথিবীর অনেক প্রান্তে এই ঋতুতে ফুল ফুটে, গাছের পাতা ঝরে। গাছে নতুন পাতা গজায়, নতুন গাছের জন্ম হয়।
উক্তি
সম্পাদনা- আয় রে বসন্ত, হেথা
কুসুমের সুষমা জাগা রে
শান্তিস্নিগ্ধ মুকুলের
হৃদয়ের গোপন আগারে। - এ দিকে বসন্তকাল উপস্থিত । সহকারের মুকুলমঞ্জরী সঞ্চালিত করিয়া মলয়ানিল মন্দ মন্দ বহিতে লাগিল কোকিলের কুহুরবে চতুর্দ্দিক্ ব্যাপ্ত হইল । অশোক, কিংশুক, কুরুবক, চম্পক প্রভৃতি তরুগণ বিকসিত কুসুম দ্বারা দিঙ্মণ্ডল আলোকময় করিল । অলিকুল বকুলপুষ্পের গন্ধে অন্ধ হইয়া ঝঙ্কার পূর্ব্বক তাহার চতুর্দ্দিকে ভ্রমণ করিতে লাগিল । তরুগণ পল্লবিত ও ফলভরে অবনত হইল । কমলবন বিকসিত হইয়া সরোবরের শোভা বৃদ্ধি করিল ।
- বাণভট্ট , কাদম্বরী উপন্যাস, তারাশঙ্কর তর্করত্ন কর্তৃক অনূদিত, পৃষ্ঠা: ১৫৭
- কত বসন্ত গিয়েছে অহল্যা গো—
জীবনে ব্যর্থ তুমি তবু বার বার,
দ্বারে বসন্ত, একবার শুধু জাগো
দুহাতে সরাও পাষাণের গুরুভার।
- চিরকাল একভাবে থাকে না হেমন্ত,
চিরকাল একভাবে থাকে না বসন্ত।
চিরকাল একভাবে থাকে না রজনী,
নিত্য একভাবে নাহি থাকে দিনমণি।- নারায়ণচন্দ্র বিদ্যারত্ন (দশাপরিবর্ত্তন)
- বসন্ত অন্তে কি কোকিলা গায়
পল্লববসনাশাখাসদনে?
নীরবে নিবিড় নীড়ে সে যায়—
বাঁশী ধ্বনি আজি নিকুঞ্জ বনে? - তুমি বসন্তের কোকিল, বেশ লোক। যখন ফুল ফুটে, দক্ষিণ বাতাস বহে, এ সংসার সুখের স্পর্শে শিহরিয়া উঠে, তখন তুমি আসিয়া রসিকতা আরম্ভ কর। আর যখন দারুণ শীতে জীবলোকে থরহরি কম্প লাগে, তখন কোথায় থাক, বাপু? যখন শ্রাবণের ধারায় আমার চালাঘরে নদী বহে, যখন বৃষ্টির চোটে কাক চিল ভিজিয়া গোময় হয়, তখন তোমার মাজা মাজা কালো কালো দুলালি ধরণের শরীরখানি কোথায় থাকে? তুমি বসন্তের কোকিল, শীত বর্ষার কেহ নও।
আরও দেখুন
সম্পাদনাবহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিপিডিয়ায় বসন্ত সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে বসন্ত শব্দটি খুঁজুন।