বিপিনচন্দ্র পাল

বাঙালি রাজনীতিবিদ

বিপিনচন্দ্র পাল (৭ নভেম্বর ১৮৫৮ - ২০ মে ১৯৩২) প্রখ্যাত বাঙালি স্বাধীনতা সংগ্রামী, বাগ্মী, রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও লেখক। তিনি ছিলেন তথাকথিত লাল-বাল-পাল ত্রয়ীর একজন। ব্রিটিশ সরকারের বিরুদ্ধে তিনি অনলবর্ষী বক্তৃতা দিতেন, তার আহ্বানে হাজার হাজার যুবক স্বাধীনতা সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়ে।

উক্তি সম্পাদনা

  • তোমরা কেউ ইংরেজের কাছে কিল খেয়ে কিল চুরি কোরো না, পথে-ঘাটে যদি আত্মসম্মান বজায় রাখতে চাও, তাহলে ঘুসির বদলে ঘুসি মারতে শেখো।
  • সাদা পাঁঠা দেখলেই ধরে বলি দেবে।
  • বাঙ্গালী বাংলার কথা ভুলিয়া গিয়াছে। রামমোহন হইতে আরম্ভ করিয়া বিবেকানন্দ পর্যন্ত বাংলার শ্রেষ্ঠতম মনীষিগণ বাংলায় যে চিন্তা ও ভাবকে তিলে তিলে গড়িয়া তুলিয়াছিলেন, আজিকার বাঙ্গালী যুবকেরা কেবল নহেন অনেক বৃদ্ধেরা পর্যন্ত সে বাংলাকে চেনেন না। বাংলার চিন্তারাজ্য আজ নিষ্পন্দ, ভাবের স্রোত বন্ধ।
    • "বাংলার বৈশিষ্ট্য", নবযুগের বাংলা, যুগযাত্রী প্রকাশক লিমিটেড, কলকাতা, ১৯৫৫।

বিপিনচন্দ্র পাল সম্পর্কে উক্তি সম্পাদনা

  • যে কোন লেখক বক্তা হতে পারেন না, কিন্তু যে কোন বক্তা লেখক হতে পারেন। বিখ্যাত বক্তারা প্রস্তুত হবার সময় পেলে বক্তব্য বিষয় নিয়ে আগে নিবন্ধ রচনা করেন। কেশবচন্দ্র সেনসুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রভৃতি ভালো লেখক ছিলেন। বিপিনচন্দ্রও তাই।
  • তিনি কেবল চিন্তাশীল নন, রীতিমত পণ্ডিত ব্যক্তি ছিলেন। কিন্তু দলাদলির আবর্তে পড়ে মাঝে মাঝে ঘুলিয়ে যেত তাঁর মনীষা।
  • চিত্তরঞ্জন ব্রাহ্ম, বিপিনচন্দ্রও ব্রাহ্ম, কিন্তু তাঁহাদের “নারায়ণ” পত্রিকায় নতুন এক হিন্দুত্বের আদর্শ প্রতিষ্ঠার চেষ্টা চলছিল। শেষ পর্যন্ত চিত্তরঞ্জন প্রায় হিন্দু হয়েই গিয়েছিলেন। কিন্তু বিপিনচন্দ্রের মন বরাবরই ছিল ব্রাহ্মভাবাপন্ন। তবু দলগত নীতি বা “পলিসি”র খাতিরে তিনি মনে যা ভাবতেন, সব সময়ে মুখে তা স্বীকার করতে পারতেন না। তাই যে বিপিনচন্দ্র একদিন গণিকা অভিনেত্রীর ছবি ছাপতে ও তাঁকে অভিনন্দন দিতে কুণ্ঠিত হন নি, তিনিই পরে গল্পের এক কল্পিত গণিকার মহত্বকে অকৃতজ্ঞ ব্রাহ্মণের ছুঁতমার্গের উপরে স্থান দিতে রাজি হন নি। দলগত নীতির খাতির রাখতে গিয়ে পরম উদার বিপিনচন্দ্র মাঝে মাঝে অত্যন্ত অনুদার হয়ে উঠেছেন। তারই ফল তাঁর যুক্তিহীন রবীন্দ্রবিদ্বেষ।

বহিঃসংযোগ সম্পাদনা

 
উইকিসংকলন
উইকিসংকলনে এই লেখক রচিত অথবা লেখক সম্পর্কিত রচনা রয়েছে: