বন্ধুত্ব
পারস্পরিক সম্পর্ক
বন্ধুত্ব হলো মানুষের মধ্যে পারস্পরিক বিশেষ সম্পর্ক। আত্মার শক্তিশালী বন্ধন হল বন্ধুত্ব। বন্ধুত্ব কোনো বয়স মেনে হয় না, ছোট-বড় সবাই বন্ধু হতে পারে। তবে বন্ধুত্বের মধ্যে যে জিনিসটা অবশ্যই থাকা চাই তা হলো ‘ভালোবাসা’। আত্মার সঙ্গে আত্মার টান থাকতেই হবে। ব্যক্তির মানসিক উন্নয়নের প্রতিনিধিত্বকারী পিতামাতার বন্ধনের পরেই হল বন্ধুত্ব। শৈশবের শেষ এবং পূর্ণ প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পূর্ব পর্যন্ত বন্ধুত্ব সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক।

উক্তিসম্পাদনা
- বন্ধুত্ব বলিতে তিনটি পদার্থ হয়। দুই জন ব্যক্তি ও একটি জগৎ। অর্থাৎ দুই জনে সহযোগী হইয়া জগতের কাজ সম্পন্ন করা। আর প্রেম বলিলে দুই জন ব্যক্তি মাএ বুঝায়, আর জগৎ নাই। দুই জনেই দুই জনের জগৎ। অতএব বন্ধুত্ব অর্থে দুই এবং তিন। প্রেম অর্থে এক এবং দুই।
- বিবিধ প্রসঙ্গ - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- আদি ব্রাহ্মসমাজ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দ (১২৯০ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৫৬
- দানশীল ব্যক্তি সর্ব্বজনপ্রিয়, তাঁহার বন্ধুত্ব অতিশয় মূল্যবান বলিয়া বিবেচিত হইয়া থাকে।
- গৌতম বুদ্ধ, বুদ্ধের জীবন ও বাণী- শরৎকুমার রায়, প্রকাশক- ইণ্ডিয়ান পাবলিশিং হাউস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩২১ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৪৪
- আমি কেমন করিয়া যেন জানিতে পারিয়াছিলাম, ‘বড়’ ও ‘ছোট’র বন্ধুত্ব সচরাচর এম্নিই দাঁড়ায়। বোধ করি ভাগ্যবশে পরবর্ত্তী জীবনে অনেক ‘বড়’ বন্ধুর সংস্পর্শে আসিব বলিয়াই ভগবান দয়া করিয়া এই সহজ জ্ঞানটা আমাকে দিয়াছিলেন যে, কখনও কোন কারণেই যেন অবস্থাকে ছাড়াইয়া বন্ধুত্বের মূল্য ধার্য্য করিতে না যাই। গেলেই যে দেখিতে দেখিতে ‘বন্ধু’ প্রভু হইয়া দাঁড়ান এবং সাধের বন্ধুত্বপাশ দাসত্বের বেড়ি হইয়া ‘ছোট’র পায়ে বাজে, এই দিব্যজ্ঞানটি এত সহজে এমন সত্য করিয়াই শিখিয়াছিলাম বলিয়া লাঞ্ছনার হাত হইতে চিরদিনের মত নিষ্কৃতি পাইয়া বাঁচিয়াছি।
- শ্রীকান্ত (প্রথম পর্ব)- শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক- গুরুদাস চট্টোপাধ্যায় এণ্ড সন্স, কলকাতা, ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ, পৃষ্ঠা ৭৪
আরও দেখুনসম্পাদনা
বহিঃসংযোগসম্পাদনা
উইকিপিডিয়ায় বন্ধুত্ব সম্পর্কিত একটি নিবন্ধ রয়েছে।
উইকিঅভিধানে বন্ধুত্ব শব্দটি খুঁজুন।