মাতৃত্ব
জীবনচক্রের ভূমিকা, সাধারণত মহিলাদের জন্য
মাতৃত্বের প্রচলিত সংজ্ঞা হল জৈবিক ভাবে সন্তান ধারন করা। তবে ব্যাপক অর্থে যে সমাজে মহিলারা বিভিন্ন সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক এবং পারিবারিক ভূমিকাতে কর্তৃত্ব ও নেতৃত্বের অধিকারী তাকে মাতৃত্ব বলা হয়। মাতৃত্বকে মহিলাদের জীবনের সর্বাপেক্ষা কাঙ্ক্ষিত, প্রয়োজনীয় এবং গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায় হিসাবে ধরা হয়ে থাকে। মাতৃত্বের সাথে জুড়ে থাকে নানারকম সামাজিক বিশ্বাস ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা। পুরুষতান্ত্রিক সমাজ নারীত্ব ও মাতৃত্বকে একে অপরের সাথে সমার্থক করে দেখে যেখানে মাতৃত্ব নারীর যাপন বা ব্যক্তিগত সিদ্বান্ত নয়, এক সামাজিক দায়বদ্ধতা এবং নিজেকে প্রমাণ করার একটি মাধ্যম। তবে মাতৃত্ব কখনই নারীত্বের পরিপূরক বা একমাত্র পরিচয় নয়।
উক্তি
সম্পাদনা- নারীর আসল নারীত্ব হচ্ছে মাতৃত্ব। এই মাতৃত্বের যে মহাব্রত, তাই নারীর একমাত্র ব্রত। এখানে যেমন পুরুষের অধিকার নেই, সেই রকম পুরুষের যে বাহিরের জীবনের কর্ম্ম সেখানেও নারীর হস্ত অনাবশ্যক।
- মৃতের কথোপকথন - নলিনীকান্ত গুপ্ত, প্রকাশক- আর্য্য পাবলিশিং হাউস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩২ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১০৩
- শিশুকে মা যে বেষ্টন করে থাকেন সে কেবল তাঁর বাহু দিয়ে তাঁর শরীর দিয়ে নয়, তাঁর অনুভূতি দিয়ে। সেইটিই হচ্ছে মাতার ভাব, সেই তাঁর মাতৃত্ব।
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, শান্তিনিকেতন (দ্বিতীয় খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৬ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৯
- পুরুষের রূপ যেমন শৌর্য্যে ও বীর্য্যে, রমণীর মাধুর্য্য তেমনি মাতৃত্বে।
- বিপিনচন্দ্র পাল, জেলের খাতা - বিপিনচন্দ্র পাল, দ্বিতীয় সংস্করণ, প্রকাশক- যুগযাত্রী প্রকাশক লিমিটেড, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল= ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দ (১৩৪১ বঙ্গাব্দ)পৃষ্ঠা ৫৩
- নারীকে ভগবান মাতৃত্ব দিয়া সংযত করিয়া দিয়াছেন। বিধাতার এই দানের সম্মান প্রায়ই নারীরা রক্ষা করিয়াছেন। তবে তাহার ব্যতিক্রম যে হয় না তাহাও নহে।
- ক্ষিতিমোহন সেন, প্রাচীন ভারতে নারী - ক্ষিতিমোহন সেন, প্রকাশক- বিশ্বভারতী গ্রন্থন বিভাগ, প্রকাশস্থান- কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দ (১৩৫৭ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৮২
বহিঃসংযোগ
সম্পাদনাউইকিমিডিয়া কমন্সে মাতৃত্ব সংক্রান্ত মিডিয়া রয়েছে।