প্রত্যেক গ্রামে, প্রত্যেক মহল্লায় আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সংগ্রাম পরিষদ গড়ে তোল এবং তোমাদের যা কিছু আছে তাই নিয়ে প্রস্তুত থাকো। মনে রাখবা, রক্ত যখন দিয়েছি, রক্ত আরো দেব। এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়ব ইনশাল্লাহ্। এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।
”
— শেখ মুজিবুর রহমান ৭ মার্চ, ১৯৭১। রেসকোর্স ময়দান (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান), ঢাকা, পূর্ব পাকিস্তান, (বর্তমান বাংলাদেশ), বাংলাপিডিয়া, খণ্ড ১৩, বাংলাদেশ এশিয়াটিক সোসাইটি
“
জালাল, এইডা (গলায় ফাঁস দেওয়ার দড়ি) আমার বালিশের নিচে রাখবি। এই, মোম কই? অহ, দড়িতে মোম লাগা। ফাঁসির দড়িতে মোম লাগে ক্যান? হুম? মোম ক্যান লাগায়? ফাঁসির দড়ি মাক্করের মতন তেলতেলা না হইলে গলার চামড়া কাইট্টা রক্তারক্তি হয়ে যাইতে পারে–মাথাটা খুইলাও পইড়া যাইতে পারে। মইরা যখন যাইবো এত কষ্ট দিয়া কি লাভ!
'পারিব না' একথাটি বলিও না আর, কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার। পাঁচজনে পারে যাহা, তুমিও পারিবে তাহা, পার কি না পার কর পরখ তাহার, একবার না পারিলে দেখ শতবার।
”
— কালীপ্রসন্ন ঘোষ পারিব না, সাহিত্য কথা, তৃতীয় ভাগ, প্রকাশক- আশা বুক এজেন্সী, কলকাতা, পৃষ্ঠা ৭২
“
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শঙখচিল শালিকের বেশে, হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়। হয়তো বা হাঁস হবো – কিশোরীর – ঘুঙুর রহিবে লাল পায় সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে। আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে জলঙ্গীর ঢেউ এ ভেজা বাংলারি সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।
বিশ্ব-জোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র, নানান ভাবের নতুন জিনিস, শিখছি দিবারাত্র; এই পৃথিবীর বিরাট খাতায় পাঠ্য যে-সব পাতায় পাতায়, শিখছি সে-সব কৌতূহলে সন্দেহ নাই মাত্র॥
”
— সুনির্মল বসু সবার আমি ছাত্র, সুনির্মল বসুর শ্রেষ্ঠ কবিতা, প্রকাশক- মিত্র ও ঘোষ, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯২৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৩৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ১৩
“
সব লোকে কয়, লালন কি জাত সংসারে। লালন বলে, জাতির কি রূপ, দেখলাম না এই নজরে॥ কেউ মালা কেউ তসবীর গলে তাইত রে জাত ভিন্ন বলে যাওয়া কিম্বা আসার বেলায় জাতের চিহ্ন রয় কারে॥
”
— লালন লালন-গীতিকা- লালন, সম্পাদক- মতিলাল দাশ ও পীযূষকান্তি মহাপাত্র, প্রকাশক- কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রকাশনা সংস্থা, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৮ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৫ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ৩৮
“
আমি আমাদের সংগ্রামের ফলাফল সম্পর্কে খুব আশাবাদী, ভারতের অভ্যন্তরে একটি বিশাল আন্দোলন চলছে এবং আমাদের লক্ষ লক্ষ দেশবাসী স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সর্বাধিক দুর্ভোগ ও আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত। [....] আমাদের আজ একটাই আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত-মৃত্যুর আকাঙ্খা, যাতে ভারত বাঁচতে পারে, যাতে শহীদের রক্তে স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত হয়।
আজ আমি তোমাদের কাছে সর্বোপরি একটি জিনিস চাই; আমি তোমাদের কাছে রক্তের দাবি করছি একমাত্র রক্তই রক্তের প্রতিশোধ নিতে পারে। রক্তই স্বাধীনতার মূল্য দিতে পারে। আমাকে রক্ত দাও এবং আমি তোমাদের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি!