'পারিব না' একথাটি বলিও না আর, কেন পারিবে না তাহা ভাব একবার; পাঁচজনে পারে যাহা, তুমিও পারিবে তাহা, পার কি না পার কর যতন আবার, একবার না পারিলে দেখ শতবার।
আবার আসিব ফিরে ধানসিঁড়িটির তীরে – এই বাংলায় হয়তো মানুষ নয় – হয়তো বা শঙখচিল শালিকের বেশে, হয়তো ভোরের কাক হয়ে এই কার্তিঁকের নবান্নের দেশে কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন আসিব কাঁঠাল ছায়ায়। হয়তো বা হাঁস হবো – কিশোরীর – ঘুঙুর রহিবে লাল পায় সারাদিন কেটে যাবে কলমীর গন্ধভরা জলে ভেসে ভেসে। আবার আসিব আমি বাংলার নদী মাঠ ক্ষেত ভালোবেসে জলঙ্গীর ঢেউ এ ভেজা বাংলারি সবুজ করুণ ডাঙ্গায়।
রূপসী বাংলা - জীবনানন্দ দাশ, প্রকাশক: সিগনেট প্রেস, কলকাতা, প্রকাশসাল- ১৯৫৭ খ্রিস্টাব্দ (১৩৬৪ বঙ্গাব্দ), পৃষ্ঠা ২৪
প্রস্তাবনা: এই আখ্যানটি বঙ্গ কিংবা বাংলার প্রতি ভালোবাসা ও ঐক্যবদ্ধতা প্রকাশ করে। উপরে বর্ণিত নীতি অনুযায়ী উক্তিটির অর্থ ও মর্ম অনন্য রয়েছে, এটি সুলিখিত ও যাচাইযোগ্য। এটি প্রেরনাদায়ক। তাই নির্বাচিত উক্তির জন্য মনোনীত করছি। Asked42 (আলাপ) ১৭:২৫, ৯ ডিসেম্বর ২০২৩ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
@Asked42 পুরাতন কোনো আলোচনায় কেউ বিরোধিতা না করলে এবং উপযুক্ত মনে হলে এমন করে যুক্ত করে নিতে পারেন। নতুন প্রস্তাবনা সরাসরি যুক্ত না করে এখানে প্রস্তাব দিবেন, অন্য অভিজ্ঞ কেউ পর্যালোচনা করবে। উইকিউক্তি সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টাতেই এগিয়ে যেতে পারে। ― 💬✉кคקย๔คภ קครђค(কাপুদান পাশা) ☪ ১১:৫০, ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ (ইউটিসি)[উত্তর দিন]
সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে। লালন বলে জেতের কি রূপ দেখলাম না এই নজরে।। কেউ মালায় কেউ তসবি গলায়, তাইতে যে জেত ভিন্ন বলায়। যাওয়া কিম্বা আসার বেলায়, জেতের চিহ্ন রয় কার রে।।
আমি আমাদের সংগ্রামের ফলাফল সম্পর্কে খুব আশাবাদী, ভারতের অভ্যন্তরে একটি বিশাল আন্দোলন চলছে এবং আমাদের লক্ষ লক্ষ দেশবাসী স্বাধীনতা অর্জনের জন্য সর্বাধিক দুর্ভোগ ও আত্মত্যাগের জন্য প্রস্তুত। [....] আমাদের আজ একটাই আকাঙ্ক্ষা থাকা উচিত-মৃত্যুর আকাঙ্খা, যাতে ভারত বাঁচতে পারে, যাতে শহীদের রক্তে স্বাধীনতার পথ প্রশস্ত হয়। আজ আমি তোমাদের কাছে সর্বোপরি একটি জিনিস চাই; আমি তোমাদের কাছে রক্তের দাবি করছি একমাত্র রক্তই রক্তের প্রতিশোধ নিতে পারে। রক্তই স্বাধীনতার মূল্য দিতে পারে। আমাকে রক্ত দাও এবং আমি তোমাদের স্বাধীনতার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি!